পরিবার সঞ্চয়পত্রে নতুন নীতিমালা: একক নামে সীমা ৪৫ লাখ
- By Jamini Roy --
- 17 January, 2025
পরিবার সঞ্চয়পত্রের নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ সরকার। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা গেলেও যুগ্ম নামে বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বরের পুরোনো প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। এতে নতুন কিছু নিয়মাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে:
যোগ্যতা:
১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নারী।
শারীরিক প্রতিবন্ধী পুরুষ ও নারী।
৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের বয়োজ্যেষ্ঠ বাংলাদেশি পুরুষ।
সীমা:
একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
যুগ্ম নামে বা কোনো প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যবহার করে এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না।
কার্যকারিতা:
নতুন নিয়ম অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে।
পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হারেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নতুন মুনাফার হার:
- পরিবার সঞ্চয়পত্রে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্তির পর সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
- সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
- পরিবার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রেও নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীদের জন্য:
- প্রথম বছর: ১০ দশমিক ২০ শতাংশ।
- দ্বিতীয় বছর: ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
- তৃতীয় বছর: ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
- চতুর্থ বছর: ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
- পঞ্চম বছর: ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীদের জন্য:
- প্রথম বছর: ১০ দশমিক ১১ শতাংশ।
- দ্বিতীয় বছর: ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ।
- তৃতীয় বছর: ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
- চতুর্থ বছর: ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
- পঞ্চম বছর: ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতাধীন সব সঞ্চয়পত্রের মধ্যে পরিবার সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে জনপ্রিয়। ২০১২ সাল থেকে এটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ হিসেবে কাজ করেছে। নতুন নীতিমালা বিনিয়োগকারীদের সুবিধা এবং সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারের এই উদ্যোগ সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন দিকনির্দেশনা নিয়ে আসবে। নতুন নীতিমালা এবং মুনাফার হার বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।